কেবল নিউইয়র্ক নয়, গোটা উত্তর আমেরিকা জুড়ে ছুটে বেড়ান তিনি। গান গেয়ে মন ভরান প্রবাসীদের। অসাধারণ গায়কি আর মঞ্চ মাতানোর চমৎকার দক্ষতার কারণে শাহ মাহবুব হয়ে উঠেছেন হাজারো মানুষের প্রিয় শিল্পী। সোমবার (০৭ সেপ্টেম্বর) লেবার ডে’তে হয়ে গেলো জনপ্রিয় এই শিল্পীর একক সঙ্গীতসন্ধ্যা। এতে যোগ দেন নিউইয়র্ক প্রবাসী অসংখ্য মানুষ। চার ঘন্টারও বেশি সময় ধরে তারা উপভোগ করেন শিল্পীর পরিবেশনা। নিউইয়র্কের উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে এই একক সঙ্গীতসন্ধ্যার আয়োজন করে শো টাইম মিউজিক। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আলমগীর খান আলম শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়ে শিল্পীকে মঞ্চে আহবান জানান। এরপর গানে গানে গোটা মিলনায়তন ভরিয়ে তোলেন শিল্পী শাহ মাহবুব।
তার দরাজ কণ্ঠে বেশিরভাগ গানই ছিল বাংলাদেশের লোকগীতি। সেই সঙ্গে কয়েকটি আধুনিক গানও পরিবেশন করেন তিনি। ছিল তার নিজের কিছু গানও। অনুষ্ঠানটি দেখার জন্য শিল্পী, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ সেখানে জড়ো হন। ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়, শহীদ হাসান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সাপ্তাহিক বাঙালির সম্পাদক কৌশিক আহমেদসহ অনেকে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকদের ভালোবাসায় সিক্ত হন শাহ মাহবুব। এসময় অনেকে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শিল্পী বলেন, ‘আপনাদের মানুষ হয়ে গান গেয়ে চলেছি। গান আমার ভালোবাসা। আপনাদের ভালো লাগলে তবেই আমার স্বার্থকতা’। দর্শকদের অনেকে বলেন, দিনের পর দিন সুস্থ্য ধারার বিনোদন উপহার দিয়ে চলেছেন শাহ মাহবুব। নিউইয়র্কে বাংলা সংস্কৃতির বিকাশে তার অবদান অনেক। এখানে এমন কোন ভালো মানের উৎসব নেই যেখানে তার সরব উপস্থিতি নেই। ঈদ, পূজা বৈশাখবরণ, পথমেলা কিংবা অন্য কোন আয়োজনে তিনি মানুষের মাঝে থাকেন। শাহ মাহবুব আমাদের ভালো গান উপহার দিয়ে চলেছেন। তাই আমরা তাকে ভালোবাসা জানাতে এসেছি’।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।